পোল্ট্রি খাদ্যের মূল্য ও অন্যান্য উপকরণের লাগামহীন দাম বাড়ার কারণে বিপাকে নরসিংদীর খামারিরা। এতে লোকসান গুনতে গুনতে দিশেহারা হয়ে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন তারা। তবে পোল্ট্রি খামারের চলতি এই সমস্যা থেকে উত্তরণ পেতে খাদ্য আমদানি নির্ভর না হওয়ার পরামর্শ দেন প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
জানা যায়, প্রথমে মানুষ উদ্যোগ নিয়ে পোল্ট্রি খামার করতো। পোল্ট্রি খামার করে নিজেদের বেকারত্ব ঘুচানোর উদ্যোগ নিয়ে খামার করার পর এখন পোল্ট্রি খাদ্য ও ঔষধের দাম বৃদ্ধির কারণে তারা আর খামার চালাতে পারছে না। ফলে আবার তারা বেকারত্বের অন্ধকারে আচ্ছন্ন হচ্ছেন।
২০১৯ সালে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার চৈতন্যা গ্রামে ৪ জন উদ্যোক্তা মিলে পোলট্রি ব্যবসা শুরু করেন। তারা আশা করেছিলেন বিনিয়োগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সফল হওয়ার। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে দামে বেড়েছে মুরগির খাদ্যের। এতে বিপাকে পড়েছেন উদ্যোক্তারা।
প্রকারভেদে গত এক মাসে বস্তাপ্রতি খাদ্যের দাম বেড়েছে ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকরণ, ওষুধ, মজুরি খরচ বাড়ায় দিশেহারা খামারিরা। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মুরগি বিক্রি করার সময় খরচের তুলনায় দাম কম পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছে বলে তারা দাবি করেন।
তারা আরো বলেন, কম খরচে মুরগি উৎপাদন করে লাভবান হওয়ার আশায় খামার করেছিলাম। খামার শুরুর সময় মুরগির খাদ্যের দাম ছিল ১৮০০-১৯০০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে প্রতি বস্তা ৩৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়লেও সেই তুলনায় আমরা মুরগি ও ডিমের দাম পাচ্ছি না।
অন্যান্য খামরিরা বলছেন, আমরা মুরগির খাবারের দামের চেয়ে মুরগির দাম কম পাচ্ছি। ১০ হাজার মুরগি পালনে ২০-২২ লাখ টাকা খরচ হয়। খরচের পরিমান এতো হলেও কাঙিক্ষত দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে খামারিরা লোকসানের সম্মুখিন হচ্ছেন।
নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, খামারিরা যদি স্থানীয় খাদ্য উপকরণ গুলো মিশ্রন করে খাবার তৈরী করে তাহলে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে পারে। ফালে বেশি মূল্যে খাবার সংগ্রহ করতে হবে না।
তিনি আরো বলেন, এই জেলার ৬ উপজেলায় ছোট-বড় মোট ৭ হাজার ৩০০ খামার রয়েছে। যাতে কর্মরত আছে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার