মাত্র একমাসের ব্যবধানে কিশোরগঞ্জ জেলার সর্বত্রই ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। ব্রয়লার মুরগির চড়া দামে অর্ধেকে নেমেছে বিক্রি। এতে করে হতাশ হয়ে পড়ছেন জেলার মুরগি ব্যবসায়ীরা।
জেলার বিভিন্ন মুরগির দোকান ঘুরে দেখা যায়, গত একমাসের তুলনায় দোকানগুলতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। যদিও দুই একজন ক্রেতা দোকানে আসছেন কিন্তু দাম শুনে বেশির ভাগ ক্রেতাই শুন্য হাতে চলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কিশোরগঞ্জের সব বাজারগুলোতেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার, লেয়ার, সোনালী, দেশী সহ অন্যান্য ফার্মের মুরগি। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায় দাম বেশি হবার কারণে নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষরা মুরগি বাদ দিয়ে অন্যান্য সবজির দিকে ঝুঁকছেন। আগে প্রতিদিন ১০০-১৫০ কেজি মুরগি বিক্রি করতাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০-২৫ কেজি মুরগি বিক্রি করাই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সকল প্রকার মুরগির দামই বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী। তবে সিন্ডিকেটের কারণে মুরগির দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ক্রেতা। তারা বলছেন, পাইকারী পর্যায়ে খামারিরা কম দামেই মুরগি বিক্রি করছে। কিন্তু কয়েক হাত বদলের ফলেই দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে আমাদের। যারফলে ক্রেতা ও খামারির লস হলেও লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্তভোগীরা।
আরও পড়ুনঃ খুচরা বাজারে ব্রয়লার ১৮০, ডিমের হালি ৪৪
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম জানান, বাচ্চা, ভ্যাকসিন, বিভিন্ন ঔষধ, বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিকের মজুরি, ফিডের দামের মূল্য বৃদ্ধির কারণে রেডি মুরগির দাম বেড়েছে। তবে যে হারে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে সে হারে প্রান্তিক পর্যায়ে দাম বাড়েনি । তাই মুরগির বাজার স্থিতিশীলতার জন্য একটি নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ সময়ের দাবি। আশাকরি সরকারের নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি বিবেচনা করবে।