Monday, December 23, 2024
No menu items!
spot_img
Homeএগ্রোসিরাজগঞ্জে কুমড়ো বড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী নারীরা!

সিরাজগঞ্জে কুমড়ো বড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী নারীরা!

রান্নায় খাবারের স্বাদ বাড়াতে কুমড়ো বড়ির প্রচলন দীর্ঘ দিনের। কুমড়ো বড়ি, দেখতে যেমন সুন্দর, খেতে তার চেয়ে বেশি সুস্বাদু। শীতকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের নারীরা অতিযত্ন সহকারে শৈল্পিকভাবে এই খাদ্য তৈরি করছেন। বাণিজ্যিকভাবে কুমড়ো বড়ি তৈরি করে অনেকের সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে।

জানা যায়, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার কুমড়ো বড়ি সব দেশীয় উপাদানে তৈরি করা হয়। বর্তমানে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের নারীরা। গাছপাকা সাদা বর্ণের চালকুমড়ো কুচি কুচি করে কেটে সাথে কলাইয়ের ডাল ভিজিয়ে পাটায় বেটে, চালকুমড়ো আর কলায়ের ডাল একসঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে ভালো করে মাখিয়ে বাঁশের চাটাইয়ের ওপরে ছোট ছোট করে বড়ি তৈরি করে বিছিয়ে দেওয়া হয়। ২-৩ দিন ভালো করে রোদে শুকালেই খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায় সুস্বাদু কুমড়ো বড়ি।

সাধারনত ঐতিহ্যবাহী কুমড়ো বড়ি সবজি আর মাছ রান্নার খাবারে ব্যবহার হয় । কিন্তু কাজের ব্যস্ততার কারণে অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও এই কুমড়ো বড়ি তৈরি করতে পারে না। আর সেই চাহিদার অনেকাংশ পূরণ করছে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নারীরা।

শাহজাদপুর উপজেলার তালগাছি গ্রামের কুমড়ো বড়ি তৈরির কারিগর জাহানারা খাতুন বলেন, শীতের সময় ব্যাপক চাহিদা থাকায় গ্রামাঞ্চলের নারীরা বাড়তি আয়ের জন্য কুমড়ো বড়ি তৈরি করেছেন। মাসকলাইয়ের ডাল আর চাল কুমড়োর মিশ্রণে রোদে শুকিয়ে তৈরি করতে হয় এই বড়ি। কুমড়ো বড়ি দিয়ে কৈ, শিং বা শোল মাছের ঝোল বেশ জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু। একারণে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে কুমড়ো বড়ি তৈরির ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আমার মত এখন এলাকার অনেক নারী কুমড়ো বড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

যুব উন্নয়ন অফিসার আ ফ ম নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুমড়ো বড়ি তৈরি করে অনেক কুমড়ো বড়ি তৈরি করে নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। আমাদের অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ করিয়ে ঋণের ব্যবস্থা করে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

RELATED ARTICLES
spot_img

এগ্রিবিডি জানালা

জনপ্রিয় নিউজ