বিগত বছরের তুলনায় এবছর টমেটো চাষে ভালো ফলন হয়নি। পাশাপাশি টমেটো চাষে খরচ বাড়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। এ বছর লাভের আশা ছেড়ে খরচ তোলার হিসেব নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চল শরিফপুর, তুলশীচর, বারুয়ামারি, টিকরাকান্দি, নরুন্দি, নান্দিনায় এ বছর ব্যাপকভাবে টমেটোর চাষ হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর টমেটোর ফলন ভালো হয়নি। চাষিরা টমেটো বিক্রি করে শ্রমিকের মজুরি সহ অন্যান্য তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন।
টমেটো চাষে বিঘা প্রতি ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। টমেটো চাষের কীটনাশক সার, সেচের দেওয়ায় পর খরচ বেড়ে গিয়ে দাড়িয়েছে দ্বিগুণ। আবাহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবার আশানুরূপ টমেটো ফলন পাওয়া যায়নি।
টমেটো চাষি হামিদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার টমেটো চাষের খরচ বেড়ে যাওয়ার লাভের মুখ দেখা যাবেনা। গত বছর প্রতি বিঘায় ৩০-৪০ মণ টমেটোর ফলন হয়। এ বছর এসেছে ১০-১৫ মণ। তেল, কিটনাশক সারের দাম বেশি। গেল বার জমি তৈরিতে সাড়ে ৩০০ টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর সাড়ে ৪০০ টাকা লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, দু‘বার চারা লাগিয়েও আশানুরূপ ফল পাইনি। প্রতি বিঘায় টমেটো চাষ করতে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ও বাজারদরে লাভের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি। তাই এবার লাভের চেয়ে আসল থাকলেই আমরা বাঁচি।
জেলা কৃষি উপপরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা বলেন, জামালপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলে টমেটোর চাষের জন্য বিখ্যাত ।বাজারে সারের দাম তেলের দাম বাড়ায় কৃষকরা হিমশিম খাচ্ছে। টমেটো বাগান রক্ষায় কৃষি বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
এ বছর জেলায় টমেটোর চাষ করা হয়েছে এক হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে।
টমেটো চাষে লোকসান গুনছেন জামালপুরের চাষিরা!
RELATED ARTICLES