শিম চাষে অভাবনীয় সফলতা পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। জমিতে শিমের অধিক ফলন ও বাজারদর ভালো থাকায় স্বচ্ছলতা ফিরেছে কৃষকের সংসারে। প্রন্তিক চাষিদের এমন সাফল্যে বাড়ছে সবজির আবাদ।
নরসিংদীর পলাশের উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নে ১৬০ হেক্টর জমিতে শিম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষাবাদ করা হয়েছে ১৭০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের খাসহাওলা গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, বর্তমানে আমার নিজের দুই বিঘা জমি হয়েছে। এবছর এই ২ বিঘাতেই শিমের চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো বিক্রি করতে পারবো। শিম চাষে আমাদের অভাব অনটন দূর হয়েছে।
জয়পুরা গ্রামের কৃষাণী সালমা আক্তার বলেন, অভাবের কারণে মানুষের বাড়িতে কাজ করতে হতো। শিম চাষ করে লাভবান হয়েছি। এখন আর মানুষের বাড়িতে কাজ করে খেতে হবে না। জমিতে শিমের ভালো ফলন হয়েছে। আর বাজারে দাম বেশি থাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পেরেছি।
সরকারচর গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া বলেন, আমি সারাবছরই মৌসুমি সবজির আবাদ করে থাকি। আবহাওয়া ভালো থাকায় অধিক ফলন পেয়েছি। ইতোমধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার বিক্রি করেছি। গত বছর ১ বিঘা জমিতে শিমের চাষ করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিক্রি করেছিলাম। চলতি বছর দেড় বিঘা জমিতে শিমের চাষ করেছি। আরো ১ মাস বিক্রি করতে পারবো। চাষে খরচ কম হওয়ায় লাভ বেশি করতে পারছি।
আরও পড়ুনঃ পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে বারি সরিষা-১৮, বিঘাপ্রতি উৎপাদন ৮ মণ!
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু নাদের এস এ সিদ্দিকী বলেন, আমরা চাষিদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি। পাশাপাশি চাষিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমেও কৃষকদের নানা পরামর্শ ও কৃষি কাজে উৎসাহিত করা হচ্ছে।