Monday, December 23, 2024
No menu items!
spot_img
Homeএগ্রোআপেল কুল চাষে সফল শরীফ

আপেল কুল চাষে সফল শরীফ

লক্ষ্মীপুরে আপেল কুল চাষে লাভবান মোহাম্মদ শরীফ। ১ একর জমিতে ১২০০ চারা রোপন করে বাগান করেন তিনি। চারা লাগানোর ৬-৭ মাসের ব্যবধানেই ফলন পেয়েছেন। প্রায় প্রতিটি গাছেই ফল এসেছে। ইতোমধ্যে ৬ লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন তিনি। তার বাগানটি দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভীড় করেন।

জানা যায়, মোহাম্মদ শরীফ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারগোপ্তা বাজার সংলগ্ন পশ্চিম চর মনসা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ফজর আলী এগ্রো ফার্ম নামের একটি কৃষি প্রকল্পের পরিচালক। সেই প্রকল্পের পাশেই ১ একর জমিতে তিনি ১২০০ কুল গাছের চারা রোপন করেছেন। রোপনের ৬-৭ মাসের মধ্যেই ফলন পান তিনি। তার সফলতার কথা ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে বাগানটি দেখতে আসেন এবং কুল চাষের পরামর্শ নিচ্ছেন।

কুল চাষি শরীফ বলেন, আমি ৭-৮ মাস আগে ঝিনাইদহ থেকে ভারত সুন্দরী জাতের আপেল কুলের ১২০০ চারা নিয়ে আসি। তারপর ১ একর জমিতে সেই চারা রোপন করি। জমি তৈরী, সার ঔষধ ও পরিচর্যায় প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। চারা রোপনরে ৬-৭ মাস পরেই ফলন পাই। বাগনের প্রায় প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় বরই ধরেছে।

তিনি আরো বলেন, গত একমাস ধরে গাছের বরই বিক্রি করছি। ইতোমধ্যে ৬ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছি। আরো দেড় মাস বরই বিক্রি করতে পারবো। আশা করছি এবছর অন্তত ১৫ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবো।

শরীফ আরো বলেন, শুরুতে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। স্থানীয় পাইকাররা বাগানে এসে বরই নিয়ে যাচ্ছেন। ধীরে ধীরে দাম কমতে শুরু করেছে। এখন প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

আমার কাছ থেকে অনেকেই কুল চাষের পরামর্শ নিচ্ছেন। আমি তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। তবে সঠিক পরিচর্যা করলে অল্প সময়ের মধ্যে আপেল কুল চাষে লাভবান হওয়া সম্ভব।

RELATED ARTICLES
spot_img

এগ্রিবিডি জানালা

জনপ্রিয় নিউজ