ডালিম চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন হারুন মোল্লা নামের একজন মাছ ব্যবসায়ী। হারুন মোল্লা নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বাসিন্দা। বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জমিতে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডালিম চাষ হয়ে আসছেন। তার এই সফলতা দেখে অনেকেই ডালিম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
চাষি হারুন মোল্লা বলেন, আমি প্রথমে ভারতে এই ডালিম চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হই। এরপর চারা সংগ্রহ করে ১ বছর আগে প্রথমে বাড়ির আশেপাশে ও পরে আরও ১ বিঘা জমিতে চাষ সম্প্রসারিত করি। বর্তমানে আমার বাগানে থাকা ১০০ গাছ থেকে ডালিম সংগ্রহ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকার ডালিম বিক্রি করেছি। বাগানে আরও ১৫৩টি গাছ রয়েছে। এই বাগান করতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। আমি বাগান থেকে ডালিম বিক্রি করে সব খরচ বাদে লাখ টাকা লাভ করার আশা করছি।
হারুন আরও বলেন, ডালিম চাষ অত্যন্ত লাভজনক। বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় বাজারজাত করাও খুব সহজ। যদি যত্নসহকারে ডালিম চাষ করা হয়, তাহলে একজন চাষি অনেক লাভবান হতে পারবেন। যখন গাছে ডালিম ঝুলে থাকে, তখন দেখতেও খুব সুন্দর লাগে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, বেলে দোআঁশ মাটি বা পলিমাটি যেখানে মাটির গভীরতা বেশি, সেখানে সবচেয়ে ভালো চাষ হয়। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকলে ওই জায়গায় ডালিম চাষ করা যায় না। শাখা কলম ও গুটি কলমের মাধ্যমে মূলত ডালিম গাছের বংশ বিস্তার করা যায়। মৌসুমে প্রতি গাছে ২০০ থেকে ৫০০টি ফল পাওয়া যায়। পাকা ফল বেশি দিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
সূত্রে: আধুনিক কৃষি খামার
ডালিম চাষে স্বাবলম্বী হারুন, লাখ টাকা লাভের আশা!
RELATED ARTICLES