Monday, December 23, 2024
No menu items!
spot_img
Homeএগ্রোমাসে ৯০০ কেজি কেঁচো সার উৎপাদন করেন নুরুল!

মাসে ৯০০ কেজি কেঁচো সার উৎপাদন করেন নুরুল!

কেঁচো সার তৈরি করে নুরুল ইসলাম ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন। এই কেঁচো সার তৈরি ও বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। তার এই সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই কেঁচো সার তৈরিতে আগ্রহী হচ্ছেন।

জানা যায়, নুরুল ইসলামের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও ভার্মিকম্পোস্টের বিষয়ে তার তেমন কোনো ধারণা ছিল না। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে তিনি এই বিষয়ে জানতে পারে। তারপর তিনি ২০২০-২১ অর্থবছরে আরডিএডিপি প্রকল্পের আওতায় ভার্মিকম্পোস্ট তৈরি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনীর মাধ্যমে ১০টি রিংয়ে কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেন। প্রদর্শনী থেকে উৎপাদিত সার জমিতে ব্যবহার করে তিনি অবাক করা সাফল্য পেয়েছেন। এরপর তিনি বাণিজ্যিকভাবে এই সার উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেন।

চাষি নুরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ পরামর্শ ও সহযোগিতায় আরও ১০টি রিং স্থাপন করে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি শুরু করলেও বর্তমানে ২০টি রিংয়ে উৎপাদন করছি। প্রতি মাসে উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ৯০০ কেজি সার। প্রায় ২০০ কেজি তিনি নিজে ব্যবহার করার পর বাকি প্রায় ৭০০ কেজি অন্য চাষি ও সিরাজগঞ্জ শহরের ছাদ বাগানীদের নিকট বিক্রি করি।

তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসে ভার্মি কম্পোস্ট বিক্রি বাবদ আয় হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। পাশাপাশি ২ থেকে ৩ হাজার টাকার কেঁচোও বিক্রি করি। উৎপাদিত সারের সুনাম চাষিদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী বলেন, নুরুল ইসলামের উৎপাদিত কেঁচো সার ইতোমধ্যেই চাষি ও ছাদবাগানকারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিনই তারা এসে এই সার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই কেঁচো সার উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

RELATED ARTICLES
spot_img

এগ্রিবিডি জানালা

জনপ্রিয় নিউজ