Monday, December 23, 2024
No menu items!
spot_img
Homeএগ্রোসমন্বিত কৃষিকাজে চাষিদের ভাগ্য বদল!

সমন্বিত কৃষিকাজে চাষিদের ভাগ্য বদল!

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের চাষিরা বছরে দুই মৌসুম ধান, কয়েক ধরনের ডাল আর আলুর ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কৃষিতে। বর্তমানে মির্জাগঞ্জের মাটিতে উৎপাদন হচ্ছে নতুন নতুন জাতের কৃষি পণ্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, মির্জাগঞ্জের চাষিরা নতুন নতুন কৃষি পণ্য চাষে ঝুঁকছে। শুধু ধান, ডাল আর আলু ওপর নির্ভর না করে কৃষকরা নানা ধরনের ভাসমান সবজি চাষ করছেন। অনেকে আবার মাচাং পদ্ধতি চাষ করছে তরমুজ। অনেক মাঠ জুড়ে হাসি ফুটাচ্ছে সূর্যমুখী।

এছাড়া উপজেলায় চাষ হচ্ছে মাল্টা, ড্রাগন, রাখাইন বেগুন, ব্রোকলি, সয়াবিন ও কাকরুল। বর্তমানে এসব কৃষি পণ্যের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ রয়েছে ১১ হাজার ১৫০ হেক্টর। এর মধ্যে এ বছর ২০ হেক্টর জমিতে তরমুজ, ৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী, ৫ হেক্টর জমিতে ব্রোকলি, ৫ হেক্টর জমিতে রকমিলন তরমুজ, ৭ হেক্টর জমিতে কাকড়ল, ৫ হেক্টর জমিতে করলা ও ২ হেক্টর জমিতে রাখাইন বেগুনসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হচ্ছে।

ভাসমান সবজি চাষে সফল উপজেলার মো: শাহজাদা বলেন, বর্তমানে কৃষি অফিসারের পরামর্শে তিনি ধান চাষের পাশাপাশি ভাসমান সবজি চাষ শুরু করেছেন। তাকে বীজ সার ও নগদ অর্থসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন বলেন, মির্জাগঞ্জের কৃষকরা খুবই পরিশ্রমী। তাদের অদম্য ইচ্ছা আর অক্লান্ত শ্রমের জন্যই নতুন নতুন জাতেরর সবজি উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। কৃষি বিভাগ শুধু পাশে থেকে তাদের বীজ, সার এবং মনোবল দিয়ে সহযোগিতা করেছে।

RELATED ARTICLES
spot_img

এগ্রিবিডি জানালা

জনপ্রিয় নিউজ