মাহমুদুর রহমান রনি, বরগুনা: সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে ফুটে উঠেছে বরগুনা পাথরঘাটার কৃষকের মাঠ এই হাসিতে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক।উপজেলা বিভিন্ন স্থানে ৬৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যমুখী । ভোজ্যতেলের সংকটকালে এই তেলজাতীয় উদ্ভিদ সূযমুখী চাষ কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে ক্ষেত চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরূপ দৃশ্য। সূর্যমুখীর সৌন্দর্য দেখতে আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা জমির পাশে ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলছেন।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, এ বছর পাথরঘাটায় ৬৩০ হেক্টর জমি সূর্যমুখী চাষ হয়েছে । এবছর ফলন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন। আর প্রতি কেজি বীজের সম্ভাব্য মূল্য ধরা হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫টাকা। সে অনুযায়ী প্রায় ৯ কোটি টাকার সূর্যমুখী বীজ উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর সূর্যমুখী চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছে কিন্তু পাথরঘাটায় জমি চাষ করে বীজবপনের সময় পর্যাপ্ত বীজের যোগান না থাকায় অধিক দামে বীজ কিনতে হচ্ছে কৃষকদের।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রারণ কর্মকর্তা মোসা: ফারজানা তাসমিন বলেন , এবার পাথরঘাটায় ব্যাপকহারে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। এবছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২০ হেক্টর, কম সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় ৬৩০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। আগামীতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছি।