Tuesday, December 24, 2024
No menu items!
spot_img
Homeএকুয়াহবিগঞ্জে মাছের মেলায় সোয়া ২ কোটি টাকার মাছ বিক্রি!

হবিগঞ্জে মাছের মেলায় সোয়া ২ কোটি টাকার মাছ বিক্রি!

পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে দিনব্যাপী মাছের মেলা বসেছে। ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা এই মেলায় দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন দর্শনার্থীরা। করোনার কারণে দুই বছর এই মেলা বন্ধ ছিল। এবছরই আবার চালু হয় এই ঐতিহ্যবাহী মেলা। এই মেলায় প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে।

জানা যায়, করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত রবিরার দুপুর থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত পইল নতুন বাজার খেলার মাঠে বিশাল জায়গাজুড়ে এই মেলাটি বসে। পইলের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলায় হবিগঞ্জ সদর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, লাখাই, চুনারুঘাট, মাধবপুর উপজেলাসহ আশপাশের ১০-১২টি উপজেলার মানুষ আসেন। ক্রেতা, বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত ছিল মেলা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জাকজমক পূর্ন এই মেলায় প্রায় পাঁচ শতাধিক মাছ বিক্রেতা হরেক রকমের দেশীয় মাছ মেলায় নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বাঘাইর, রুই, কাতল, বোয়াল, মৃগেল, শিং, মাগুর, কই, পাবদা, চিংড়ি, চিতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মেলায় ৩০ কেজি ওজনের একটি রুই ও ৪৫ কেজির বাঘাইড় মাছকে ঘিরেই ছিল মানুষের উৎসাহ বেশি ছিল। এ দুটি মাছ রাতে বিক্রি হয়।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের জাবুর আলী মেলায় ৪৫ কেজি ওজনের একটি বাঘাইর মাছ নিয়ে আসেন। তিনি মাছটির দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাঁকালেও রাত ১০ টার দিকে ৫০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি হয়।

পইল ডালিহাটি গ্রামের আব্দুল আলী ৩০ কেজি ওজনের রুই মাছ নিয়ে আসেন। বড় সাইজের এই মাছটি দেখতে অনেক মানুষ ভীড় জমায়। জাবুর আলী মাছটির দাম ৫০ হাজার টাকা হাঁকারেও পরে রাতে মাছটি ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

মৌলভীবাজারের শেরপুর থেকে মেলায় মাছ বিক্রির জন্য আসা সিরাজ মিয়া বলেন, ছোটবেলা থেকে বাবার সঙ্গে মাছ বিক্রির জন্য আসতাম। এখন আমি নিজেই কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় বিক্রির জন্য একটি ট্রাকে ভরে জ্যান্ত মাছ নিয়ে এসেছি। প্রতিটি মাছের ওজন ১৬-২০ কেজি।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে মেলায় আসা মারুফ আহমেদ নামের এক চাকরিজীবী বলেন, মেলায় বিভিন্ন প্রকারের মাছ উঠেছে। বেশির ভাগ মাছই পুকুরে চাষ করা। আবার অনেকে নদী ও সমুদ্রের মাছও নিয়ে এসছেন। আমি ২৪০০ টাকা দিয়ে একটি বোয়াল মাছ কিনেছি।

পইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর এই মেলা বন্ধ ছিল। এবছর আবার শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ মেলায় এসেছে। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেশি মাছ বিক্রি হয়। এবছর মেলায় প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে।

সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার

RELATED ARTICLES
spot_img

এগ্রিবিডি জানালা

জনপ্রিয় নিউজ