মোঃ নুরনবী ইসলাম, দিনাজপুর: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা মাঠে মাঠে এখন সোনালি ধানের সমারোহ ইতিমধ্যে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমত্রার চেয়ে বেশি জমিতে এ খাদ্যশস্যের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অনুকূল আবহাওয়া অব্যাহত থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে মোট প্রায় ২ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
শনিবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা এখন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকায় তাঁদের দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না। এ ধরনের আবহাওয়া আরও দুই সপ্তাহ থাকলে মাঠের অধিকাংশ ধান কাটা হয়ে যাবে বলে জানান তাঁরা।
গোয়ালডিহি গ্রামের কৃষক তফিজ উদ্দিন বলেন, ১ একর জমিতে ব্রি-২৮ ধান চাষ করেছি ফলনও বেশ ভালো। তিনি প্রায় ৭৫-৮০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন বলে জানান।
একই গ্রামের কৃষক রাম প্রসাদ রায় বলেন, ১ একর জমিতে ব্রি-২৮ ধান আবাদ করেছেন, কেটে বাড়ির আঙ্গিনায় তুলছেন খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে মাড়াইয়ে যাবে ২০০০ হাজার টাকা একরে। বর্তমানে বাজারে এই ধান ৯৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী আফসার আলী জানান, তিনি ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা মণ দরে ধান কিনছেন। পুরোদমে ধান কাটা শুরু হলে দাম আরও কমে যেতে পারে। কারণ আমন মৌসুমের ধান এখনো ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত রয়েছে।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানান, এবার বাম্পার ফলন আশা করছি। বর্তমানে উপজেলায় আগাম জাতের ব্রি-২৮ এবং ব্রি-৯০ ধান কাটা ও মাড়াই চলছে। ধানের বাজারও ভালোই আছে। আগামী দুই সপ্তাহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হবে। এখন বৃষ্টি হলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। তবে ঝড় এবং শিলা পড়লে সমস্যা হতে পারে।