উচ্চফলনশীল একটি নতুন জাতের মরিচ হল বিনা মরিচ ১। এই জাতের মরিচ চাষে কৃষকের লাভ হবে দ্বিগুণ। কেননা প্রচলিত অন্যান্য জাতের মরিচের চেয়ে এর ফলন হয় অনেক বেশি। নতুন এই জাতটি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. রফিকুল ইসলাম।
প্রতি বছর দেশে মরিচের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উদ্ভাবন করা হয়েছে এই জাতটি। দেশের অন্যান্য মরিচের তুলনায় এই মরিচের উৎপাদন হবে অনেক বেশি। বিনা মরিচ ১ এর হেক্টরপ্রতি উৎপাদন হবে প্রায় ৩০-৩৫ মণ পর্যন্ত বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিনা মরিচ ১ এর চারা লাগানোর মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর গাছে ফুল আসা শুরু করে। পরবর্তী ২৮ দিনের মধ্যে কাঁচামরিচ পাওয়া যায়। স্থানীয় জাতের তুলনায় ১৩০ থেকে ১৪০ ভাগ বেশি ফলন দেয়। এ জাতের মরিচ প্রতি হেক্টরে ৩০ থেকে ৩৫ টন পাওয়া যায়।পাশাপাশি এর উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম এবং রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে খুবই কম। প্রথম মরিচ সংগ্রহের পর গাছে ফলনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আকারে বড় ও মাংসল হয়ে থাকে। সাধারণত ৯ থেকে ১২ বার কাঁচামরিচ তোলা যায়।
এ প্রসঙ্গে ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিনা মরিচ-১ জাতটি দেশের বিভিন্ন মসলা উৎপাদনকারী অঞ্চলে ব্যাপকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে দীর্ঘ সময়ের মধ্যেও কোনো ক্ষতিকারক পোকা-মাকড়ের আক্রমণ করেনি। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অ্যানথ্রাকনোজ রোগ, থ্রিপস ও জাবপোকার প্রতি সহনশীলতা লক্ষ করা গেছে। এ দুটি জাত চাষাবাদ করলে খরচ কমার পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবে চাষিরা।
উল্লেখ্য যে, বীজ বোর্ড ২০১৭ সালে বিনা মরিচ-১ উচ্চ ফলনশীল জাত হিসেবে চাষাবাদের জন্য নিবন্ধিত হয়। বিনা মরিচ-১ এর জার্মপ্লাজমটি ২০১২ সালে চীনের স্থানীয় জাত থেকে কৌলিক সারি হিসেবে সংগ্রহ করা হয়।
উচ্চফলনশীল জাত বিনা মরিচ-১, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫ মণ!
RELATED ARTICLES