কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দিনাজপুরে এবার আড়াই লক্ষাধিক গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। কৃষক ও খামারিদের এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। ভারতীয় পশু না আসলে এবার গরু পালনে ভালো লাভ হবে বলে আশা করছেন খামারিরা।
দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, এবার দুই লাখ ৫৯ হাজার ১৩৮টি গরুকে মোটাতাজাকরণ করছেন কৃষক ও খামারিরা। তবে জেলার চাহিদা রয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৫০২টির। উদ্বৃত্ত ২৮ হাজার ৬৩৬ পশু। উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সঙ্গে প্রতিনিয়ত নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। পশু পালনে খামারিরা এবার ভালো লাভের আশা করছেন। তবে তাদের শঙ্কা শুধু ভারতীয় পশু আসা নিয়ে।
খামারি মোজাম্মেল হক জানান, আসন্ন কুরবানিকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুত করছি। অবৈধভাবে ভারতীয় পশু আসলে এস এই শিল্প হোচট খাবে, নতুন প্রজন্ম নিরুৎসাহিত হবে। এজন্য অবৈধভাবে যাতে ভারতীয় পশু না আসে সেজন্য সরকার যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।
আরও পড়ুনঃ গরু-ছাগলের দাম নিয়ে শঙ্কায় মৌলভীবাজারের খামারিরা
কৃষকরা জানান, ভারতীয় পশু এলে দাম কমে যাবে, আমাদের লোকসান হবে। আমরা গরুকে খুদ-ভাত, চক্কর প্রভৃতি খাওয়াচ্ছি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শে আমরা খামার চালাচ্ছি। সরকারের কাছে আমরা গরুর খাদ্যের দাম কমানো দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে যেকোনো মূল্যে যেন ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করা হয় এটাই সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ।
দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, এবার জেলায় অনেক কৃষক ও খামারি গরু মোটাতাজাকরণ করছেন। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। বর্তমান বাজারে পশুর ভাল দাম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ভারতীয় গরু আনা বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ নিয়ে দেশীয় খামারিদের উৎসাহিত করা হোক এমনটা প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী।