গরুর আঘাতজনিত ক্ষত রোগের চিকিৎসায় করণীয় যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার। লাভজনক হওয়ার কারণে আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেকেই গরু পালন করে থাকেন। গরু পালনে গরুর রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ চলুন জানবো গরুর আঘাতজনিত ক্ষত রোগের চিকিৎসায় করণীয় সম্পর্কে-
গরুর আঘাতজনিত ক্ষত রোগের চিকিৎসায় করণীয়ঃ
গরুর পায়ের ক্ষুরে কোনো ধারালো বস্তু দ্বারা ক্ষত হলে কিংবা ক্ষুর বেড়ে গেলে তা ভালোভাবে পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে। ল্যামিনাইটিস হলে গরু প্রায়শ খোঁড়া হয়ে যায় কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কোনো লিশান পরিলক্ষিত হয় না।
রোগের চিকিৎসাঃ
আক্রান্ত পশুদেরকে শুকনো পরিষ্কার স্থানে রাখতে হবে। এ্যান্টিবায়োটিকস বা সালফোনামাইডস প্রয়োগ করতে হবে এবং ক্ষত স্থান জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। অক্সিটেট্রাসাইক্লিন প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১০ মিগ্রা হিসাবে দৈনিক শিরা বা মাংশaপেশীতে ইনজেকশন দিতে হবে।
ভেড়া ও ছাগলের জন্য প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ৭৫ মিগ্রা স্ট্রেপটোমাইসিন এবং ৭০০০ ইউনিট প্রোকেইন পেনিসিলিন মাংসপেশীতে দিলে উপকার হয়। সোডিয়াম সালফাডিমিডিন প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১৫০-২০০ মিলিগ্রাম হিসাবে শিরা বা পেরিটোনিয়ামের মধ্যে ইনজেকশন দিলেও কাজ হয়।
ক্ষতস্থান ভালোভাবে জীবাণুনাশক সলিউশন দ্বারা পরিষ্কার করে এন্টিসেপ্টিক ও এসট্রিনজেন্ট ঔষধ প্রয়োগ করে ব্যান্ডেজ করে দেয়া যেতে পারে। এছাড়াও ৫% কপার সালফেট বা ৫% ফরমালিন দ্বারা ক্ষত স্থান পরিষ্কার করে ১০% জিংক সালফেট ব্রাশের মাধ্যমে প্রয়োগ করলেও উপকার হয়।
গরুর আঘাতজনিত ক্ষত রোগের চিকিৎসায় করণীয়
RELATED ARTICLES