আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মেহেরেপুরে বাড়তি মনোযোগী হয়েছেন গরুর খামারিরা। বর্তমানে তারা সর্বক্ষণ পশুকে পর্যবেক্ষনে রাখছেন। করছেন বাড়তি যত্ন। তবে গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় হাটে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় আছেন গরুর খামরিরা।
জানা যায়, মেহেরপুর জেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রামে ছোট-বড় অনেক খামার গড়ে উঠেছে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এইসব খামারে পশুর বাড়তি পরিচর্যা করছেন গরুর খামারিরা। আগের তুলনায় পশুর যত্ন নেওয়া আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। সময় মতো খাবার দেওয়া, গোসল করানো এছাড়াও নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তবে গোখাদ্যের দাম আগের তুলনায় দ্বিগুণ হওয়ায় হাটে ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তারা। খাদ্যের পাশাপাশি চিকিৎসা খরচ, ঔষধ ও পালন ব্যয় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ কুড়িগ্রামে ‘লাম্পি স্কিন’ রোগে মরছে গরু, হতাশ…
গরুর খামারিরা জানায়, আমরা অনেক কষ্ট করে সব কিছু বাড়তি দামে কিনে পশু পালন করছি। ঈদে যদি ভারত থেকে গরু আমদানি করা হয় তাহলে আমাদের লোকসান হবে। আমরা ভারত থেকে যেন গরু না আসে সেটা মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে দাবি জানাচ্ছি।
মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, আমাদে দেশে চাহিদার তুলনায় বেশি পালন করা হয়েছে। পশু জোগানে কোনো ঘাটতি থাকার কথা না। দেশের খামারগুলোতে যত পশু পালন করা হয়েছে তাতে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। গরু আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। কারণে এবছর দেশি গরুর পাশাপাশি জেলায় শাহিওয়াল জারসি, ফিজিয়ান, ব্রাহামা প্রজাতির গরু পালন করা হচ্ছে।