Monday, December 23, 2024
No menu items!
spot_img
Homeডেইরিগরু পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন প্রান্তিক খামারিরা!

গরু পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন প্রান্তিক খামারিরা!

গরু পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন রংপুর বদরগঞ্জের খিয়ারপাড়া গ্রামের প্রন্তিক চাষিরা। এখানকার প্রায় প্রতিটি পরিবারেই এসব প্রাণী লালন পালন করা হয়। এই গ্রামের অধিকাংশ খামারিই স্বাবলম্বী হয়েছেন। কোরবানি ঈদে বিক্রির পাশাপাশি সারাবছর গাভী গরু পালন করে সংসার চালান তারা। আগের থেকে অনেকটাই অভাব দূর হয়েছে।

খিয়ারপাড়া গ্রামের গরু খামারি ইসমাইল হোসেনের বলেন, আমাদের গ্রামের প্রায় সবাই গরু পালন করে। অনেকের খামারে সর্বনিম্ন ৪টি আর সর্বোচ্চ ৩৫টি গরুও রয়েছে। আমারা বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট বাছুর ও কম দামে কিনে নিয়ে আসি। তারপর পালন করে মোটাতাজা করে ঈদে বিক্রি করি। আর গাভী গুলোকে পালন করে তা থেকে দুধ ও বাছুর পাই।

তিনি আরো বলেন, মোটাতাজা করে ঈদে ভালো দামে বিক্রি করতে পারি। আর গাভী থেকে সারাবছর দুধ ও বাছুর পাই। এতে আমাদের সংসার চলে যায়।

একই গ্রামের রাজ্জাক, মিতলুব, সিদ্দিক, মোতাহার জানায়, মোটাতাজা করনে কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া বা ইনজেকশন ব্যবহার করেন না। প্রাকৃতিক ভাবে নেপিয়ার ঘাস, চালের ভাত, গুড়া, ভুঁষি, ভুট্টা ইত্যাদি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেন। এতে মাংসে কোনো প্রকার ক্ষতিকারক কিছু থাকে না। আর বাজারে এর চাহিদাও বেশি। তারা গরু ও মাংস বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, খিয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা প্রাকৃতিক ভাবে মোটাতাজাকরণ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এই গ্রামটি একটি আদর্শ গ্রাম। এখানকার খামরিদের গরুর মাংস খেলে মানব শরীরে কোনো ক্ষতি হবে না।

আরও পড়ূনঃ ঠাকুরগাঁওয়ে অজ্ঞাত রোগে ৮০টির অধিক গরুর মৃত্যু

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, খিয়ারপাড়া গ্রামের মানুষ গরু পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এর ফলে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা খামারিদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।

RELATED ARTICLES
spot_img

এগ্রিবিডি জানালা

জনপ্রিয় নিউজ