Sunday, December 22, 2024
No menu items!
spot_img
Homeএগ্রো কমুনিটিজাম্বু কোয়েল পালনে তরুণ উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীরের সাফল্য!

জাম্বু কোয়েল পালনে তরুণ উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীরের সাফল্য!

অল্প খরচে অধিক লাভ। জাম্বু কোয়েল পাখির খামার করে সফল হয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। নতুন এই জাতের কোয়েলের খামার করে তিনি বেশ সাড়া ফেলেছেন। নিজ বাড়িতে তৈরী করা খামারটি দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভীড় করছেন। বর্তমানে তার খামারে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫ হাজারের বেশি বাচ্চা উৎপাদন হয়।

জানা যায়, তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বড় বাংলাট গ্রামের বাসিন্দা। দুই বছর আগে অনলাইনের মাধ্যমে জাম্বু কোয়েলের পালন দেখে খামার করার পরিকল্পনা করেন। যেই চিন্তা সেই কাজ। ২০২০ সালে নিজ বাড়িতে ৫ শতাংশ জমিতে ঘর বানিয়ে কোয়েলের খামার তৈরী করেন। ভারত থেকে বীজ ডিম এনে নিজের হ্যাচারিতে বাচ্চা উৎপাদন করেন। তারপর আর তার পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার খামারে আড়াই হাজার জাম্বু কোয়েল পাখি রয়েছে।

উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর বলেন, দুই বছর আগে অনলাইনে জাম্বু কোয়েল পালন দেখি। তারপর পরিকল্পনা করি খামার করবো। নিজ বাড়ির ৫ শতাংশ জমিতে ঘর তৈরী করি। তারপর ভারত থেকে বীজ ডিম এনে নিজের হ্যাচারিতে বাচ্চা উৎপাদন করে খামার শুরু করি। বর্তমানে আমার খামারে প্রায় আড়াই হাজার কোয়েল পাখি রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজারের বেশি ডিম সংগ্রহ করি। সেগুলো নিজের হ্যাচারিতে ফুটিয়ে বাচ্চা উৎপাদন করি। এতে সপ্তাহে প্রায় ৫ হাজারের বেশি বাচ্চা উৎপাদন হয়। প্রতি পিস একদিন বয়সী বাচ্চা ১২ টাকা দরে ও পূর্ণ বয়স্ক কোয়েল প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করি। অনেকেই আমার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে খামার করেছেন। আশা করি তারাও আমার মতো সফল হতে পারবেন।

খামার দেখতে আসা কলেজ ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি জাহাঙ্গীর ভাইয়ের কাছ থেকে ১০০টি কোয়েল নিয়ে পাখি পালন করছি। কোয়েল পাখি খাবার কম খায়, রোগ বালাইও কম। আর জাম্বু কোয়েলের মাংস খুবই সুস্বাদু।

আরেক কোয়েল খামারি মো. আবু তালেব বলেন, আমি বেকার ছিলাম। জাহাঙ্গীর ভাইয়ের কোয়েল পালনে সফল হতে দেখে তার কাছ থেকে ১ দিনের ৫০০ বাচ্চা কিনে নিয়ে নিজে খামার করেছি। বর্তমানে আমার খামার থেকে প্রতিদিন ৩০০-৩৫০ ডিম সংগ্রহ করতে পারি। কোয়েল পাখির খামার করে আমি লাভবান হতে পেরেছি। আশা করছি খামার আগামী আরো বড় করবো।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার বলেন, অল্প পুজিতে কোয়েল পালন খুবই লাভজনক। সাধারন কোয়েল থেকে জাম্বু কোয়েল পালন বেশি লাভজনক। দিন দিন জাম্বু কোয়েলের পালন বাড়ছে। আমরা খামারিদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবো।

সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার

RELATED ARTICLES
spot_img

এগ্রিবিডি জানালা

জনপ্রিয় নিউজ