Monday, December 23, 2024
No menu items!
spot_img
Homeএগ্রোতীব্র শীতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছ-গোশতের বাজার!

তীব্র শীতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছ-গোশতের বাজার!

নদীর মাছ মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। চাষের প্রজাতির দর বেড়েছে কেজিতে প্রতি প্রায় ৫০ টাকা। আর গরুর গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, কুয়াশার কারণে ট্রাকের আনাগোনা কমেছে। তাই মাছের যোগান কম। ক্রেতাদের অভিযোগ, মাছ-গোশতের বাজার দিন দিন নিম্ন-মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

জধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, পাঙাশ ছাড়া বাজারে ২৫০ টাকার নিচে কোনো মাছ বিক্রি হচ্ছে না। আর সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪ শত টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ টাকা। রুই ৩০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা কালিবোস ২৫০ টাকা, টাকি মাছ ৩ শত টাকা, ছোট পাঁচ মিশালী মাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও কই মাছ ২০০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০ টাকা, বাঘা মাছ ৯০০ টাকা কেজি, বাইং (বাইন) মাছ কেজি ৭৫০ টাকা, চিতল সাড়ে ৫০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়ও বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ টাকায়, খিরাই ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ১৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, আলু ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুল কপি পিস ৩৫ টাকা, বাঁধা কপি ৩০ টাকা, শিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। গোল বেগুন ৭০ টাকা কেজি, আর লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বরবটি কেজি প্রতি ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, শীতকালীন বাজারে গোশতের মধ্যে হাঁসের চাহিদা একটু বেশি। অন্যদিকে সোনালী কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়, পাকিস্তানি মুরগির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। বয়লার মুরগি কেজি ১৬০ টাকা। আর গরুর গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।

বাজারে মাছ ক্রয় করতে আসা আরিফ জানান, একবার যদি কোন পণ্যর দাম বাড়ে সেটি কমবে তো দুরের কথা আরও দাম বাড়তে থাকে। কিন্তু ব্যয় বাড়লেও আমাদের সেভাবে আয় বাড়েনি । ফলে, আয়ের সঙ্গে মিল রেখে চলতে গিয়ে মাছ-গোশত খাওয়া কমিয়ে দিতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগে সপ্তাহের শেষ দিন ইলিশ বা গোশত খাওয়া হতো। এখন সেটা মাসে একবার বা দুইবারে বেশি সম্ভব হয় না।

RELATED ARTICLES
spot_img

এগ্রিবিডি জানালা

জনপ্রিয় নিউজ