মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট: বাগেরহাটে ফকিরহাটের কাঠালতলা গ্রামে সূর্যমূখীর বাম্পার ফলনে কৃষকের মাঝে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। মাঠে মাঠে হৃদয় জড়ানো সোনালীর সমারোহ। হাজার হাজার সূর্য যেন সকলকে হাত ছানি দিচ্ছে । সূর্যমুখী তেলের ব্যাপক চাহিদার কারণে ফকিরহাটে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
পতিত জমিতে স্বল্প ব্যয়ে অধিক ফলনে লাভবান হওয়ায় এ চাষে ঝুঁকছে চাষীরা। উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার ১৫০ হেক্টর জমিতে এবারে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। ফকিরহাট সদর ও লখপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী সূর্যমুখী চাষ করেছে কৃষক।
তেল ফসল প্রকল্পের মাধ্যমে সূর্যমূখী প্রদর্শণী রয়েছে ৩২টি। এছাড়াও ১০০ চাষীকে জন প্রতি ১ কেজি করে সূর্যমূখীর বীজ প্রনোদণা দেয়া হয়েছে। ফকিরহাটে গ্রামের চাষী মোজ্জামেল হোসেন ১৩২শতকের ২বিঘা জমিতে সূর্যমূখী চাষ করেছেন। এতে তিনি ২০ মন ফলন পাবেন যার বলে ধারনা করছেন। যার মূল্য হবে ৯০ হাজার টাকা। তেল হবে ৩০০ কেজি। খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। একই গ্রামের আলতাপ হোসেন ৩৩ শতক জমিতে ফসল ফলাতে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার টাকা । সূর্যমুখীর ফলন খুবই ভালো হয়েছে।
চাষী মহর আলী,নুরুইসলাম,সামাদ শেখ, আলিমুজাম্মান, সূর্যমুখীআনসার সরদার, সাইফুল তালুকদার, শফিকুল সরদার, রাণী বেগম সহ একাধিক চাষীরা বলেন, নতুন সূর্যমুখী চাষ করে খুবই ভালো ফলন হয়েছে ।তেল জাতীয় ফসলের কৃষকদের সভাপতি সাইফুল তালুকদার বলেন এলাকার ৩০ জন কৃষকদের সমন্বয়ে তাদের এ কমিটি। কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে প্রত্যেক চাষীরা এবারই প্রথম সূর্যমুখীর চাষ করেছে, ফলনও ভালো হয়েছে।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ শেখ হাসিনার যে পরিকল্পনা ২০৪১ সালের ভিতরে উন্নত যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে তারই ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসন এবং ফকিরহাট উপজেলা প্রশাসন উদ্ভাবনীয় উদ্যোগ হচ্ছে স্মার্ট ফকিরহাট গড়ার উদ্দেশ্যে আমাদের উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমি সূর্যমুখী চাষে কৃষি আওতায় এনেছে, উপজেলার পতিত জমিতে এবারে চাষীদের নতুন ফসল সূর্যমূখী চাষ ও তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্যাটার্ন ভিত্তিক একক প্রদর্শণী উদ্বুদ্ধকরণ প্রনোদনা দেয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁওয়ে বরই চাষে কৃষক আমানের ভাগ্য বদল
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নাসরুল মিল্লাত বলেন, এ উপজেলায় এ বছরে ১৫০ অ্যাক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছে কৃষকরা গত বছরে চাষীরা ৫০ একর জমিতে সুর্যমূখী চাষ করেছিলেন । অন্যান্য ভোজ্য তেলের চেয়ে সূর্যমূখী তেল আলাদা। কোলষ্টেরল মুক্ত এবং প্রচুর পরিমাণ প্রাণ শক্তি থাকায় এ তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়। রান্নায় সয়াবিন তেলের চাইতে এ তেল দশগুণ বেশী পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।