ঈশ্বরদীর চরাঞ্চলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাদাম চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে দ্বিগুন দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। তাছাড়া বাদাম তোলা, শুকানো ও বিক্রির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, চরাঞ্চালে চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছে। চাষিরা জমি থেকে বাদাম তুলছেন। পাইকাররা জমি থেকে কাচা বাদাম কিনছেন। অনেক চাষিরা বাদাম শুকিয়ে বাজারে নিয়ে যাচ্ছে।
চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাদাম চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ বাদাম হয়েছে। প্রতি মণে বাদামের দাম বেড়েছে প্রায় ১ হাজার টাকা।
ইসলামপাড়া গ্রামের বাদাম চাষি সরোয়ার বলেন, ১০ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় লাভ হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। আগামীতে এ চরে আরও বেশি বাদাম চাষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লক্ষীকুন্ডার দাদাপুর চরের চাষি লুৎফর বলেন, যৌথভাবে ১০ জন কৃষক ৩০ একর জমিতে বাদাম আবাদ করেছি। ফলন হবে প্রায় ৯০০ মণ। দাম প্রায় ৩০ লাখ টাকা। চাষাবাদে ১৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় লাভও বেশি হবে।
আরও পড়ুনঃ রোপণের ৬ মাসের মধ্যেই আসবে ফলন, কলা…
দিনমজুর রত্না খাতুন বলেন, ১ মণ বাদাম তুলে ৪০০ টাকা পাই। প্রতিদিন ১ থেকে দেড় মণ পর্যন্ত বাদাম তোলা যায়। ফলন ভালো হওয়ায় এবার আমাদেরও আয়ও ভালো হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, পদ্মার তীরবর্তী সাঁড়া ইউনিয়ন ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে এবার বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। এখানে বিনা ও বারী জাতের বাদামের চাষাবাদ বেশি হয়।