ফজলুর রহমান, রংপুরঃ রংপুরে ঘোড়া দিয়ে কৃষি জমি চাষ করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করছেন। ঘোড়া দিয়ে নিজেদের সামান্য জমি চাষাবাদের পাশাপাশি অন্যের জমি চাষ করিয়ে অর্থ উপার্জন করে সংসার চালায়ে থাকেন অনেকেই। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার একাধিক ঘোড়ার মালিক নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অন্যের কৃষি জমিতে চাষ দিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন। সেই উপার্জিত অর্থ দিয়ে কিছুদিনের জন্য হলেও সংসারে খরচ মিটছে।
ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা ও গাড়ির সৌখিনতার কথা অনেকের জানা থাকলেও বর্তমানে এ উপজেলায় কৃষি কাজে হাল ধরেছে এই ঘোড়া। গোড়ার গাড়ি দিয়ে মালামাল বহন করছিলেন এখান কার প্রায় শতাধিক মানুষ। তাদের মধ্যে নতুন করে আবারও কৃষি চাষাবাদে হালচাষের মধ্যে দিয়ে অনেকটাই সুবিধা করে দিয়েছে এই ঘোড়া। এছাড়াও প্রতিনিয়ত ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলার চতরা ইউনিয়নের আলমগীর মিয়া জানান, ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ ও মই এর জন্য প্রতিনিয়ত তার ঘোড়ার হালের প্রচুর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তিনি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আরো ঘোড়া কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ঘোড়ার মাধ্যমে জমিতে হাল চাষ ও মই চাষ পেশা হিসাবে নিবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্থানীয় জমির মালিক আব্দুল মালেক মিয়া বলছেন, কৃষি কাজে জমিতে মই দেয়ার কাজে ঘোড়া ব্যবহার করা হচ্ছে। গরুর হাল পাওয়া যায়না সেই কারনে ঘোড়ার হাল নিয়েছেন তিনি। এতে জমিতে মই দেয়ার অনেক সুবিধা এবং ঘোড়ার শক্তিও বেশি ফলে দ্রুত জমি সমান হয়।
উপজেলার চেরাগপুর গ্রামের রুবেল মিয়া বলেন, তেলের দাম বেশি যে কারনে ঘোড়া কিনে নিজের জমিতে হালচাষ শুরম্ন করি। বর্তমানে নতুন চিন্তায় আমার এটা দিয়ে অন্যের জমিতে মই দিয়ে কৃষি কাজে সহায়তা করার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, বর্তমান আধুনিক যুগে যেখানে কৃষি চাষাবাদ হচ্ছে আধুনিক মানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে। কৃষি বিভাগ সমসময় আধুনিক মানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে চাষাবাদ করার জন্য উৎসাহ প্রদান করছে। এর পরও কৃষকরা মাথা খাটিয়ে তাদের জমি হালচাষের কাজে ঘোড়া ব্যবহার করছেন।
তথ্য সূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার