সিলেটে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মরছে গরু। আর এমন রোগে গরুগুলো আক্রান্ত হওয়ার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারিরা। প্রথমে কয়েকটি গরু আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। প্রয়োজন অনুযায়ী এই রোগের টিকা ও ভ্যাকসিন না থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানের মতোই সিলেটে দিন দিন এই রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বাড়ছে। শুরুতেই এখানকার খামারিরা এই রোগ সম্পর্কে না জানলেও পরে তারা জানতে পারেন এই রোগটির নাম লাম্পি স্কিন রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে গরুর শরীরে জ্বর আসে ও গরু দুর্বল হয়ে পড়ে। পরে গরুর শরীরে গুটি গুটি দাগ ওঠে ও গরুর খাওয়ার রুচি কমে যায়। পরে গরুর শরীরের দাগগুলো ফেটে গিয়ে চামড়ায় ক্ষত সৃষ্টি করে।
জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গবাদিপশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি)। ভাইরাসজনিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক মাসে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় শতাধিক গরু মারা গেছে। কোরবানি ঈদের আগে গবাদিপশুতে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় মহা-দুশ্চিন্তায় আছেন গরুর মালিক ও কৃষকরা।
স্থানীয় গরুর পালনকারীরা বলছেন, আগে কখনও গরুতে এমন রোগ হতে দেখিনি। আমার গরুগুলোতে প্রথমেই জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে বাজার থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াই। কিন্তু তাতে তেমন কোন উপকার হয়নি। পরে জানতে পারি এই রোগটির নাম লাম্পি স্কিন রোগ। এখন কি করবো তা ভেবে পাচ্ছি না।
সিলেটের প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাগণ জানান, গত কয়েকদিনে আমাদের জেলাতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর এই রোগটি। সময়মতো আক্রান্ত গরুগুলোকে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা না করলে অনেক গরুর মৃত্যু হতে পারে। প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সেবা ও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। সরকারি ভ্যাকসিন না পেলে নিজ উদ্যোগে বেসরকারি কোম্পানির ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে। তাহলে কৃষকের ক্ষতির সম্ভবনা কম।