বাঙ্গি তেমন একটা খেতে সুস্বাদু না হলেও বর্তমান রমজানে রোজাদারদের একটি প্রিয় খাবার হল বাঙ্গির শরবত। চলতি বছর নরসিংদী জেলার চরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে বাঙ্গির চাষাবাদ হয়েছে। অল্প খরচে অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় ৭৪ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির আবাদ হয়েছে। গ্রীষ্মের এই সময়টাতে বাঙ্গির ব্যাপক চাহিদা থাকার পাশাপাশি বাঙ্গি চাষ করতে তেমন খরচ লাগে না। এছাড়াও সাথি ফসল হিসাবে রসুন ও বাঙ্গি দুই ফসল চাষ করা যায়। ফলে প্রত্যাশামত লাভ পাওয়ায় প্রতি বছর নতুন নতুন উদ্যোক্তারা বাঙ্গি চাষে ঝুঁকছেন বলে জানায় চাষিরা।
বাঁশগাড়ি গ্রামের কৃষক সালাম বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বাঙ্গি চাষ করছি। এবছরও বাঙ্গির ব্যাপক চাহিদা আছে ফলে দামও ভাল পাচ্ছি।
কৃষক মো. ইসমাইল বলেন, প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা খরচে ৮০ শতাংশ জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছি। ক্ষেতে যে পরিমাণ ফল আছে তা তিন লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব বলেও তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
এদিকে বিক্রেতারা জানান, বাঙ্গি সুস্বাদু ও আকারে বড় হওয়ায় ক্রেতারা পছন্দ করে বেশি। ফলে কম সময়ে অধিক পরিমাণে বিক্রি করা যায়। এবার আমি ২৫০টি বাঙ্গি কিনেছি। শতক প্রতি দাম পড়েছে পাঁচ হাজার টাকা।
নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, চলতি বছর জেলায় প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের হাজার টন বাঙ্গি উৎপাদন হয়েছে। প্রতিবছর বাঙ্গির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এর চাষ সম্প্রসারণ বৃদ্ধি হচ্ছে। কৃষিবিভাগ মাঠ পর্যায়ে চাষিদের বিভিন্ন রকম সেবা ও সহযোগিতা প্রদান করছে বলেও তিনি জানান।