পিরোজপুরে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কলা চাষ। এই জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল ধান হলেও বর্তমানে বলেশ্বর নদীর দু’পাড়ে সেই ধানের জমিতে কলা বাগান গড়ে উঠেছে। বর্তমানে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সাফল্যের সাথে সাথে ঘুরেছে কৃষকদের ভাগ্যের চাকা। এখানকার কৃষকরা কলা চাষকে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে নিয়েছেন।
জানা যায়, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর দুই পাশের গ্রামগুলোতে এখন ধান চাষ প্রায় বিলুপ্তির পথে। সময়ের অগ্রগতিতে কৃষকরা এসব ফসল আগ্রহী হয়েছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষ সহজ ও চাষে খরচ কম। ঝুঁকি তেমন নেই বললেই চলে। ফলে বলেশ্বর নদীর দুই পাশের গ্রামের কৃষকরা ধান ও অন্যান্য ফসলের আবাদ ছেড়ে এই ফসলের চাষ করছেন। প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ কলা চাষের সাথে জড়িত। এখানকার কৃষকরা সাগর, সবরি, কবরি, কাঁচা, চম্পা ও কাঠালিসহ বিভিন্ন প্রজাতি চাষ করছেন। এখানকার উৎপাদিত কলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ হচ্ছে। এতে প্রতি বছর এ এলাকা থেকে কোটি কোটি টাকার কলা বিক্রি হয়ে থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর পিরোজপুরের ৭টি উপজেলায় ১ হাজার ২৯৩ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এতে হেক্টর প্রতি গড়ে ১৪.৮৬ টন উৎপাদন হয়েছে।
কলা চাষি মো. জামাল খান বলেন, চলতি বছর আমি সবরি, সাগর ও কাঁচকলার চাষ করেছি। এক মাস আগে থেকে কলার মৌসুম শুরু হয়ছে। চলবে আগামী আরো ৩ মাস পর্যন্ত। প্রতিটি কলা গাছে প্রায় ১৫০-২৩০ টাকা খরচ হয়। আর প্রকারভেদে বিক্রি করে প্রায় ৩০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করা যায়।
আরও পড়ুনঃ নীলফামারীতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে অসময়ে তরমুজ চাষ
পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, পিরোজপুরের কলা সুনাম সারাদেশে রয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় এর চাষ লাভজনক। এছাড়াও কম খরচে উৎপাদন করে বেশি দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। তাই দিন দিন এই অঞ্চলের কৃষকরা কলা চাষে ঝুঁকছেন।