নীলফামারীতে বাণিজ্যিকভাবে মিঠপানিতে ঝিনুক চাষের মাধ্যমে মুক্তা উৎপাদন করছেন চাষিরা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ কালিন সময় মিঠাপানিতে ঝিনুক চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন জুলফিকার রহমান বাবলা। মাত্র ৬টি ঝিনুক নিয়ে পরিক্ষামূলক চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে সফল হয়েছেন।
জানা যায়, জুলফিকার রহমান বাবলা নীলফামারীর সোনারা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ কালে ঝিনুকের চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন। তারপর তিনি পরিক্ষামূলকভাবে নিজ পুকুরে মাত্র ৬টি ঝিনুক দিয়ে চাষ শুরু করেন। সফলতা পাওয়ার পর পুকুরে ৬৫০টি ঝিনুক চাষ করেন। যেখান থেকে ৫০০টি মুক্তা সংগ্রহ করতে পারেন। প্রথমদিকে মুক্তা বাজারজাত করতে সমস্যা হলেও এখন আর সেই সমস্যা হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকার মুক্তা বিক্রি করেছেন।
মুক্তাচাষি জুলফিকার বলেন, পরিক্ষামূলক চাষে সফলতা পাওয়ার পর বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু করি। একটি ঝিনুক চাষে আমার ৭০ টাকা খরচ হয়। আর বিক্রি করছি প্রায় ৫০০-১০০০ টাকা দরে।
স্থানীয় আরেকজন মুক্তা চাষি বলেন, এই জেলায় জুলফিকারই প্রথম ঝিনুকের চাষ করেন। আমি তার কাছ থেকে মুক্তা উৎপাদন শিখেছি। এখন আমিও এর চাষ করছি।
নীলফামারীর সৈয়দপুর মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল সিনিয়র অফিসার ডা. আজহার আলী বলেন, জেলার ডোমার উপজেলায় বর্তমানে প্রায় ২৭ জন মুক্তা চাষি রয়েছে। এখানে জুলফিকার রহমান বাবলা প্রথম ঝিনুকের চাষের মাধ্যমে মুক্তা উৎপাদন করেন। তিনি সফল হওয়ায় তার দেখাদেখি অনেকেই এর চাষে আগ্রহী হন। আমরা সকল চাষিদের কারিগরি ও সব ধরনের সহযোগিতা করছি।
মুক্তা চাষে জুলফিকারের বাজিমাত
RELATED ARTICLES