চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কুড়িগ্রামে ফুলকপি ও বাঁধা কপির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ফুলকপি ও বাঁধাকপির বর্তমান বাজারদর ভালো থাকায় খুষি কৃষকরা। গত কয়েক সপ্তাহ যাবত ফুলকপির দাম কম থাকায় কৃষকরা লোকসানের আশঙ্কায় ছিল। তবে এখন আবার দাম বাড়তে থাকায় কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ফুলকপি ৪৭০ হেক্টর ও বাঁধাকপি ৪৯৫ হেক্টর জমিতে চাষবাদ করেছেন প্রান্তিক চাষিরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শত শত কৃষক পতিত জমিতে আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছেন। টানা এক থেকে দেড় মাস ধরে কৃষকরা ক্ষেতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি করছেন। এর মাঝখানে ফুলকপির দাম কমে গেলেও গত কয়েক দিন থেকে দাম বাড়ায় কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষক মনছার আলী বলেন, আমি এবছর ১ বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছি। প্রথম দিকে ১০০০-১৫০০ টাকা মণ দরে ফুলকপি বিক্রি করতে পারি। তবে মাঝে ফুলকপির দাম একেবাবে কমে যায়। তখন লোকসানে পড়ার আশঙ্কায় পড়ি। এখন প্রতিমণ ফুলকপি ৫০০-৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। দাম এমন থাকলে আশা করছি ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারবো।
একই এলাকার আরেকজন কৃষক ঈশা মিয়া বলেন, চলতি মৌসমে আমি ১ বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফুলকপির বাম্পার ফলন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ফুলকপি চাষে আমার ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। মাঝে দাম কমে গেলেও এখন আবার দাম বেড়েছে। বর্তমানে ৫০০-৫৫০ টাকা মণ দরে বিকি করতে পারছি। বাজারদর এমন থাকলে আশা করছি ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারবো।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলার প্রায় সবগুলো উপজেলাতেই ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। কৃষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সবজির চাষ বেশি করছেন। প্রথমে কৃষকরা খুব ভালো দামে বিক্রি করতে পারলেও মাঝে দাম কমে যায়। তখন অনেক কৃষকরা হতাশ হয়ে যান। তবে এখন আবার দাম বেড়েছে। আশা করছি সকল কৃষক লাভবান হতে পারবেন।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার
ফুলকপির দাম বাড়ায় খুশি কুড়িগ্রামের চাষিরা!
RELATED ARTICLES