Monday, December 23, 2024
No menu items!
spot_img
Homeনির্বাচিত খবরআলু ভালোবাসুন, আলুর ব্যবহার বৃদ্ধি করুন

আলু ভালোবাসুন, আলুর ব্যবহার বৃদ্ধি করুন

এটি একটি জনপ্রিয় সবজি। ভাতের পর এখন দেশের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্যশক্তির উৎস আলু । অন্য যে কোনো শস্যের চেয়ে এর ফলন বেশি হয়। এর থেকে আমরা শ্বেতসার পাই। এতে অনেক পুষ্টি উপাদানও বিদ্যমান। এসব কারণে বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা কেন্দ্রের (ইফপ্রি) এক যৌথ গবেষণা বলছে, গত ষাট বছরে বাংলাদেশে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। উৎপাদন বেড়েছে ২৬ গুণ। মাথাপিছু খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে ১০ গুণ।

জেনে রাখুন, বাংলাদেশের মানুষ বছরে মাথাপিছু ২৩ কেজি খায়, যা ভারতের চেয়ে আট কেজি বেশি। রপ্তানিতে অপ্রচলিত পণ্যেও তালিকায় আলুকেও সংযোজন করা যেতে পারে। সিংগাপুর বছরে ২ লক্ষ টন এবং শ্রীলংকা বছরে ১ দশমিক ৫ লক্ষ টন আল আমদানী করে। বর্তমানে চীন ভারত ও ইন্দোনেশিয়া এসব দেশের আলুর বাজার নিয়ন্ত্রন করছে। মধ্যপ্রাচ্যের কাঁচা বাজার প্রায় সম্পূর্ণ ভারতের নিয়ন্ত্রনে। চলতি মৌসুমে দেশে ৪লাখ ৭৭হাজার হেক্টর জমিতে আবাদের মাধ্যমে ৯০লাখ টন উৎপাদনের লক্ষ স্থির করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। জানাগেছে উৎপাদনে এখনো বড় বাধা উন্নত বীজ ও এর আবাদ প্রযুক্তি। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বারির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছে উন্নত জাতের বীজ ও এর আবাদ প্রযুক্তি হস্তান্তর নিশ্চিত করতে পারলে দেশে উৎপাদন আগামী পাঁচ বছরে কোটি টন অতিক্রম সম্ভব। তাদের মতে, উন্নত বীজ এবং পরিমিত জৈব ও রাসয়নিক সার ব্যাবহারসহ সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশে হেক্টর প্রতি ৩০-৪০টন পর্যন্ত গোল আলু উৎপাদন সম্ভব বলে ।

আলুনামা


আলুর তথ্য বিশেস্নষণ করে জানা যায়, বাংলাদেশের আলুর আদি জাত হচ্ছে মিষ্টি আলু। আর গোল আলুর আদি জাত দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরম্নতে। পরবর্তী সময়ে তা পর্তুগিজ ব্যবসায়ী ও নাবিকদের হাত ধরে ইউরোপে চাষ শুরু হয়। বাংলাদেশে ২০০ বছর আগে পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ জেলায় আলুর আবাদ শুরু হয়। একই পরিমাণ সিদ্ধ চালে তথা ভাতে এবং সিদ্ধতে প্রায় একই পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা, প্রোটিন বা আমিষ এবং ক্যালরি বা খাদ্যবল থাকে। আলুর প্রোটিনের জৈবিকমান চাল বা গমের প্রোটিন অপেক্ষা উৎকৃষ্ট।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট নিরসনকল্পে মানুষের খাদ্য হিসেবে আলুর কদর বেড়ে যায়। গোল এবং মিষ্টি দুটোই যুদ্ধোত্তর পৃথিবীর খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। তবে আলুর আদি নিবাস ছিল পে্রুতে হলেও ১৫৭০ সালে এর বিস্তার ঘটে স্পেনে। তবে ১৬০০ সালে আলুর আবাদ ছড়িয়ে পড়ে ইতালি, ফ্রান্স, হল্যান্ড, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানিসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে। ’ ১৭৯৫ সালে ইংল্যান্ডের কৃষিবিভাগ একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল ‘আলু ভালোবাসুন, আলুর ব্যবহার বৃদ্ধি করুন। সিদ্ধ আলুতে মোট খনিজ পদার্থ থাকে সমপরিমাণ রুটি বা ভাতের চেয়ে অনেক বেশি। খোসাসহ সিদ্ধ করে খাওয়া হলে ভিটামিন ‘সি’ অপচয় কম হয়। ব্যবহার বৈচিত্র্যে তুলনাহীন। সিদ্ধ আলু, , আলু ভাত, খিঁচুড়ি, চাপাতি, চপ, চটপটি, লুচি, শিঙ্গাড়া, দম, সবজি,পায়েস, হালুয়া ইত্যাদি নানাবিধ উপাদেয় খাদ্য তৈরি করা যায়। মৌসুমের সময় দামে সস্তায় ৩-৪ মাস খেয়ে চালের চাহিদার ওপর চাপ কমানো যেতে পারে।

বাংলাদেশে বিস্তৃতি


অনুসন্ধানে জানা যায়, গত এক যুগে দেশে আলু প্রক্রিয়াজাত পণ্য যেমন চিপস, ফ্লেক্স ও অন্যান্য খাদ্য ও পণ্য উৎপাদন বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্যাটালিস্টের হিসাবে ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে দেশে ১৫টি আলু প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি কোম্পানি এটা থেকে উৎপাদিত চিপস ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বিদেশেও রপ্তানি করছে। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ের জাত কৃষকেরা চাষাবাদ শুরু করেন। আশির দশকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা নেদারল্যান্ডসের জাতগুলোকে উন্নত করে দেশের আবহাওয়া উপযোগী করা শুরম্ন করে। দেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত তিন মাসে ফলন হয় এমন আলুর জাত উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে। বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা ছাড়া দেশের সব স্থানেই আলুর চাষ হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি ফলে মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া ও রংপুর জেলায়।

বিশ্বে ৭ম বাংলাদেশ


জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ২০১৩ সালের সর্বশেষ আলুর উৎপাদন-বিষয়ক পরিসংখ্যান বলছে, আলু উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন এবং কৃষকদের প্রচেষ্টায় আলু চাষের সফলতা এসেছে। মূলত ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশে আলু উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। ইউরোপে যেখানে আলু পরিণত হতে পাঁচ থেকে ছয় মাস লাগে, সেখানে বাংলাদেশে হতে তিন মাস লাগে। গত এক যুগে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা ৬১টি আলুর জাত উদ্ভাবন করেছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আলুর নতুন জাত উদ্ভাবনে বেশ সাফল্য দেখিয়েছে। দেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত জাতগুলো থেকে দেশের ৭৫ শতাংশ আলু উৎপাদিত হচ্ছে বলে বারি থেকে জানানো হয়েছে। বারি আলু-৪৬ ও বারি আলু-৫৩ নামে নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন করেছেন আলু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা, যাতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হবে না। এসব আলু বিদেশে রপ্তানি করতেও সুবিধা হবে।

বাড়ছে রপ্তানি, বাড়ছে সম্ভাবনা


বিদেশে আলু রফতানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। ১৯৯১ সালের আগে বিশ্বের ২০টি দেশ থেকে আলু আমদানি করতে হতো। আর বর্তমানে ২৭টি দেশে আলু রপ্তানি হয়। আলু উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে আলু রপ্তানির সুযোগ অবারিত হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে মাত্র ৩২ কোটি ২২ লাখ টাকার আলু রপ্তানি করেছিল। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা ২৫০ কোটি ছাড়িয়েছে। জানাগেছে, দেশে বছরে গড়ে ৮০ লাখ টনের বেশি আলু উৎপাদিত হচ্ছে, রপ্তানি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ টন। এরসাথে আবার যোগ হয় আগের বছরের উদ্বৃত্ত আলু। ফলে প্রতিবছর অšত্মত ১৬ লাখ টন আলু রপ্তানি করা সম্ভব। ৪০ হাজার টন আলু রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ব্রম্ননাইয়ে আলু রপ্তানি শুরম্ন করছে প্রাণ। সৌদিআরব, দুবাই, ওমান, কুয়েত, কাতার, হংকং, নেপাল ও শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশে প্রাণ এর প্যাকেটজাত আলু পাওয়া যাবে। কুড়িগ্রামের আলু যাচ্ছে রাশিয়ায়। বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোবেন গ্রানুলা ও কার্ডিনাল জাতের আলু মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কা যাচ্ছে।

উৎপাদনের কারিগর কৃষক


আলু উৎপাদনের এ সাফল্যের মূল কারিগর কৃষকই। মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নাটোর, নওগাঁ, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, নীলফামারী, রংপুরের বদরগঞ্জ, পঞ্চগড়, যশোর, বগুড়া, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ও লালমনিরহাট জেলায় প্রায় প্রতি বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে অবমুক্ত প্রায় ৪০টি জাতের উন্নত আলুর চাষাবাদ হচ্ছে কৃষক পর্যায়ে। উচ্চ ফলনশীল জাতের আলুবীজ সম্প্রসারিত হয়েছে শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি আবাদি এলাকায়। এক দশক আগেও উৎপাদন ছিল ৫০ হাজার টনের নিচে। এখন তা এগোচ্ছে কোটি টনের দিকে। সরকারও আলুর উৎপাদন বাড়াতে নানাভাবে উৎসাহিত করেছে কৃষককে দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহায়তা। দেশে আলু উৎপাদন কয়েক বছর ধরে ৮২-৮৯ লাখ টনের ঘরে ওঠানামা করছিল। প্রথমবারের মতো তা ৯০ লাখ টন ছাড়াল। প্রাথমিক হিসাবে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে আলু উৎপাদন হয়েছে ৯২ লাখ ৫৪ হাজার টন। প্রতি কেজি গড়ে ১২ টাকা হিসাবে উৎপাদিত এ আলুর মূল্য ছাড়িয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা।

উদ্ভাবিত নতুন জাত


আলুচাষীর এ সংকট মোচনে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারি)। বারি ইতোমধ্যে ৩০টি উচ্চ ফলনশীল গোল আলুর জাত উদ্ভাবন করেছে- ‘বারি -১ (হিরা), বারি আলু-৪ (আইলসা), বারি আলু-৭ (ডায়মন্ড), বারি-৮ (কার্ডিনাল), বারি-১১ (চমক), বারি-১২ (ধীরা), বারি-১৩ (গ্রানোলা), বারি আলু-১৫ (বিনেলা), বারি টিপিএস-১ ও বারি টিপিএস-২’ নামের একাধীক জাতের উচ্চ ফলনশীল বীজ উদ্ভাবন করেছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের কাছে এখনো কার্ডিনাল ও ডায়মন্ড বেশি জনপ্রিয়।

প্রক্রিয়াজাত সুবিধাসংবলিত তিনটিসহ নতুন পাঁচটি জাত উদ্ভাবন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বারি-৩৫, বারি-৩৬, বারি-৩৭, বারি-৪০ ও বারি-৪১। নতুন পাঁচটি জাতের প্রতিটিরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য। বারি-৩৫ জাতটি ৯০-৯৫ দিনের মধ্যে ফলন দিতে সক্ষম। প্রতি হেক্টরে ফলন পাওয়া যাবে প্রায় ৪০ টন। বারি-৩৬ জাতের ফলন হবে প্রতি হেক্টরে ৩৫ টন। পরিপক্ব হতে সময় লাগবে ৯০-৯৫ দিন। বারি-৩৭ জাতটি ৯০-৯৫ দিনে পরিপক্ব হবে। প্রতি হেক্টরে ফলন হবে ৩৫ টন। জাত দুটি ৯০-৯৫ দিনে পরিপক্ব হবে ও হেক্টরপ্রতি ফলন হবে প্রায় ৪০ টন।

আলু থেকে বিদ্যুৎ!


এই সবজি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাতি জ্বালিয়ে বিজ্ঞান মেলায় সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মিরসরাইয়ের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞান মেলায় বিদ্যুত আবিষ্কারক মঘাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলের ক্ষুদে বিজ্ঞানী ইমন, আসিফ বিশ্বনাথ, সাকিব ও প্রসেনজিত জানিয়েছেন, এর ভেতরে থাকে প্রচুর পরিমানে সৌরো শক্তি যেটি কাজে লাগিয়ে অনায়াসে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটি এলইডি বাল্ব জ্বালাতে ১০টি এই সবজি, জিংকের পাত, ১০টি তামার পাত ও সামান্য তার ও দুটি আলাদা ধাতব দন্ড ব্যবহার করা হয়েছে। ধাতব দন্ডের মধ্যে একটি অ্যানোড বা (নেগেটিভ) এবং অন্যটি ক্যাথোড বা পজেটিভ। এরপর দন্ড এর দুই প্রান্তে গেথে আর দন্ডের অপর প্রান্তের সাথে দুইটি পরিবাহী লাগানো হয়েছে। পরবর্তীতে অ্যাসিডিক পদার্থকে সংশেস্নষনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়েছে। যা এর আগে কেউ ভাবেনি।

আরওপড়ুনঃ জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে বেগুনি ফুলকপি চাষে লাভবান কৃষক আমেদ!

আলু হোক আশার আলু


ভাতের বিকল্প হিসেবে আলুর বিভিন্ন ব্যবহার জনপ্রিয় করে তোলা প্রয়োজন। খাবারের মধ্যে আলুর বিচিত্র ব্যবহার বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার। আলুর বিভিন্ন প্রকার খাবার পরিবেশন বাধ্যতামূলক করা উচিত সব হোটেল ও রে¯ত্মরাঁয়। আলুর বিদ্যমান জাতগুলোয় জলীয় অংশ বেশি থাকায় তা সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। হিমাগার সংকটের কারণেও পন্যটির কাঙ্খিত মজুদ গড়ে তোলা যাচ্ছে না। তাই উৎপাদনে শীর্ষ দশের এ অবস্থান স্বপ্ন যেমন দেখাচ্ছে, তেমনি বাড়াচ্ছে ঝুঁকিও। উৎপাদনে বেশি কিছু প্রতিবন্ধকতাও মোকাবেলা করতে হচ্ছে কৃষককে।

লেখকঃ এস এম মুকুল
কৃষি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক

RELATED ARTICLES
spot_img

এগ্রিবিডি জানালা

জনপ্রিয় নিউজ