Monday, December 23, 2024
No menu items!
spot_img
Homeডেইরিগরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের খামারিরা

গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের খামারিরা

কোরবানি সামনে রেখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের প্রান্তিক খামারিরা। প্রতিবছর গরু মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অসংখ্য বেকার যুবক। এছাড়াও গরু মোটাতাজাকরণ লাভজনক হওয়ায় এ পেশায় ঝুঁকছেন এই অঞ্চলের মানুষেরা।

সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ এর তথ্যানুসারে, চলতি বছরে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। চলতি বছর প্রাকৃতিক উপায়ে ধানের খড়, সবুজ ঘাস, বিভিন্ন প্রকারের ভুষি, খৈল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্টরা।

গো-খামারিরা জানান, গরু মোটাতাজাকরণে গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ বেড়েছে। গমের ছাল, এ্যাংকর ডালের ভূষি, ধানের খড় নেপিয়ার ঘাস গত বছরের তুলনায় এবছর কয়েকগুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। গো-খাদ্যের দাম কমানো না হলে খামার রাখা অসম্ভব হয়ে উঠবে।

শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের  গো-খামারি তারেক বলেন, এ বছর ৪০টি ষাঁড় খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে। ছয় মাস আগে কেনা ষাঁড়গুলোকে আমি সন্তানের মতো দেখাশোনা করছি। আমার খামারের বেশকিছু উন্নতমানের ষাঁড় রয়েছে, যেগুলোর দাম ৩ লাখ টাকা হবে বলে আশা করছি।

কামারখন্দ উপজেলার আলোকদিয়ার গ্রামের খামারি হৃদয় সরকার বলেন, কাচামালের দাম বাড়ার অজুহাতে গো-খাদ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে আমাদের ষাঁড় মোটাতাজা করার ব্যয় বেড়ে গেছে। গত বছরের মতো এ বছরেও যদি পশুর হাটে ক্রেতা বা পাইকার আসা-যাওয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয় তাহলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না। তাতে আমাদের লোকসান হবে।

 আরও পড়ুনঃ প্রস্তুত ২৫ মণ ওজনের ‘রাজাবাবু’, বিক্রি হবে…

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ষাঁড় মোটাতাজা করতে খামারিদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর ওষুধের ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভেজাল খাদ্য যাতে ব্যবহার না হয় তার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।

RELATED ARTICLES
spot_img

এগ্রিবিডি জানালা

জনপ্রিয় নিউজ