সময়ের পরিক্রমায় বর্তমানে সারাবছরই পাওয়া যাচ্ছে কাঁঠাল। আর এমনি একটি আঠাবিহীন বারোমাসি কাঁঠালের জাত খাজা। চারা রোপণের মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে এর ফলন আসা শুরু হয়। এছাড়াও এই জাতের কাঁঠাল খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। দ্রুত ফল আসার পাশাপাশি আঠা না থাকার কারণে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কাঁঠালটি।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হর্টিকালচার সেন্টারে সম্প্রতি এই জাতের কাঠালের চারা কেনার জন্য সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চাষিদের মধ্যে হিড়িক পড়েছে। এর আগে এই সেন্টারে ভিয়েতনাম থেকে ১০টি বারোমাসি ও আঠাবিহীন জাতের খাজা কাঁঠালের চারা এনে রোপণ করা হয়। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে দেশের সর্বত্রই এই জাতের চারা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কলম থেকে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে।
হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, নতুন এই জাতের কাঁঠাল এরই মধ্যে অনেক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কাঁঠালের বীজের পাশাপাশি কলম করে চারা উৎপাদন করা যায়। যেহেতু সারাবছরই গাছে কাঁঠাল আসে তাই ভালো দাম পাওয়ায় যায়। এই কাঁঠালের পুষ্টিগুণ বেশি। আর কাঁঠাল খেলে পেটফোলা বা বদহজম হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই।
আরও পড়ুনঃ নাবি জাতের আম চাষে ঝুঁকছেন নওগাঁর চাষিরা!
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সিংঙ্গাগ্রামের প্রসূন মন্ডল বলেন, আমি এই কাঁঠাল খেয়েছি। খাওয়ার সময় আমারে হাতে কোনো আঠা লাগেনি। এটা খাজা জাতীয় কাঁঠাল। মিষ্টি কিছুটা কম হলেও খেতে বেশ মজা।
গোপালগঞ্জ শহরের মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এই জাতের কাঁঠালের চারা লাগিয়েছিলাম কিন্তু পরিচর্যার অভাবে চারা দুটি মারা গেছে। এ বছর আবারও চারা সংগ্রহ করে লাগাবো।