বরইগুলো দেখতে খুব সুন্দর। খেতে খুবই সুস্বাদু। তাই শখের বশে বরই চাষ করেছিলেন নড়াইলের মোঃ রফিকুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি ৫ জাতের বরই বাণিজ্যিভাবে চাষ করে সফল হয়েছেন। তার বাগানটি দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভীড় করে।
জানা যায়, মোঃ রফিকুল ইসলাম নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্নাত্তক শেষ করে শখের বশে বরইয়ের বাগান করেন। তার করা বরই বাগান এখন বাণিজ্যিক রূপ ধারন করেছে। প্রায় ৫ একর জমিতে ১৫ শতাধিক বরই চারা রোপন করেছেন। তার বাগানে কাশ্মীরি, থাই, বলসুন্দরী ও সিডলেস সহ প্রায় ৫ প্রজাতির বরইয়ের গাছ রয়েছে। বর্তমানে বরই বিক্রি করে লাখ টাকা আয় করছেন। কেউ কেউ তার থেকে পরামর্শ নিয়ে বাগানও করছেন।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি যশোর ক্যান্টলমেন্ট কলেজ থেকে স্নাত্তক শেষ করি। তারপর গত বছর যশোরে আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বরইয়ের বাগান দেখি। তখনই বরই চাষের প্রতি আমার আগ্রহ জাগে। প্রথমে ৩ বিঘা জমিতে প্রায় ৫ শত বলসুন্দরী, কাশ্মীরি, থাই ও সিডলেস জাতের কুলের চারা রোপণ করি। ফলন ভালো পাওয়ায় আরো গাছ রোপন করি।
তিনি আরো বলেন, এবছর ১৫ শতাধিক চারা লাগিয়েছি। বরই চাষে আমার ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি খরচ বাদে প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা লাভ হবে।
বলসুন্দরী কাশ্মিরী, থাই, নারিকেল জাতের কুল ছাড়াও বাগানে সিডলেস কুলসহ ৫ প্রকার কুল চাষ করেছেন। এসব কুল খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। তার এ সাফল্যে ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এলাকার অনেক যুবক কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা আক্তার বলেন, বর্তমানে সুস্বাদু কাশ্মীরি কুলের বেশ চাহিদা রয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে বরই চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার
কুল চাষে সফল রফিকুল, ৮ লাখ টাকা লাভের আশা!
RELATED ARTICLES