গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের চাষিরা। অসময়ের ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা থাকার পাশাপাশি দামও ভাল পাচ্ছেন তারা। এছাড়াও এই ফুলকপি চাষে জৈব বালাই নাশক ও কেঁচো সার ব্যবহারে চাষিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ফুলকপি চাষি মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, শীতকালের চেয়েও ভালো ফলন পেয়েছি। বর্তমানে বাজারে গ্রীস্মকালীন ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভবান হবেন বলে আশা করছি। আশানুরুপ ফলন পাওয়ায় তার আশপাশের চাষিরা গ্রীস্মকালীন ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও ফুলকপি ক্ষেতে চাষ করেছেন মরিচ ও ধনিয়াপাতা। এটাকে এলাকার লোকজন ‘ফাউ’ ফসল বলে আখ্যায়িত করেন।
বাঁশেরতল এলাকার কৃষক মাহতাব উদ্দিন বলেন, ৪০ হাজার টকা খরচে ৩০ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। ইতোমধ্যে জমি থেকে পাইকাররা ৮০ টাকা কেজি দরে সেই কপি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছি। ক্ষেতে এখনও অর্ধেক ফুলকপি আছে যা আরও ৬০-৭০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব।
সৈয়দপুর কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মমতা সাহা জানান বলেন, শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমানে জেলায় ব্যাপকভাবে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপির চাষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে চাষিরা ফুলকপি চাষে সফল হয়েছেন। এটা উপজেলায় গ্রীষ্মকালে প্রথম ফুলকপি চাষ। তবে আশা করছি সামনে আরও বেশি করে ফুলকপি চাষ হবে এ উপজেলায়।