একদিন বাজার ভাল থাকলে পরের দিন চলে মন্দা। ব্রয়লার মুরগির দামের এমন দ্রুত পতনে হতাশ দেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারি থেকে শুরু করে দেশের পোল্ট্রি সংশ্লিষ্টরা। এমতাবস্থায় প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে লোকসান এতে করে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসছেন প্রান্তিক খামারিরা।
গত ১৭ জুন ২০২৩, শনিবারের পাইকারী ও খুচরা বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পাইকারী বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম নেমে গেছে অস্বাভাবিক হারে। এদিকে ময়মনসিংহে পাইকারী রেটে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৩৮ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও গাজীপুরে ১৪০ টাকা, সিলেটে ১৪৫ টাকা, বগুড়ায় ১৫০ টাকা, বরিশালে ১৮০ টাকা, ফরিদপুরে ১৫০ টাকা, চট্টগ্রামে ১৪৫ টাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও এমনি কাছাকাছি দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি।
এদিকে পাইকারী বাজারে ব্রয়লার মুরগি গড়ে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা করে। খুচরা বিক্রেতারা প্রত্যাশামতো লাভ করলেও পাইকারী বাজারে মুরগির দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন খামারিরা।
পোল্ট্রি খামারিরা জানিয়েছেন, মুরগির খাদ্য, শ্রমিকের মজুরি, ভ্যাকসিন, ঔষধপাতি, বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচসহ প্রতি কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতে খরচ পড়ে প্রায় ১৫০-১৬০ টাকা। ১৫০-১৬০ টাকা খরচ করে বর্তমানে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা দরে। এতে করে প্রায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে লোকসান হচ্ছে। মুরগির বাজার এরকম চলতে থাকলে পোল্ট্রি খামার বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা বলেও জানান খামারিরা। যদিও ইতোমধ্যে অনেক খামারি পুঁজি হারিয়ে হয়েছেন নিঃস্ব গুটিয়ে নিয়েছেন ব্যবসা।
চাকুরীর পাশপাশি পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে জড়িত নতুন উদ্যোক্তা হাফিজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে লোকসানের মুখে পড়েছেন অনেক খামারি। লোকসান গুনতে গুনতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগি উপাদনকারী থেকে শুরু করে ডিম উৎপাদনকারী পর্যন্ত যেসব খামারি আছে তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকারের একটি পোল্ট্রি বান্ধব নীতিমালা গ্রহণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে । তা না হলে এই সম্ভাবনাময় সেক্টরটি ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।