বাড়ির উঠানে মিশ্র ফল চাষ করে লাখ টাকা আয় করছেন কৃষক বাবুল হোসেন। তার বাগানে মাল্টা, কমলা লেবু, আনারস, ড্রাগন, ডালিম, আম, পেয়ারা, আমড়া, কলা, পেঁপেসহ হরেক রকম দেশি-বিদেশি ফলমূলের গাছ রয়েছে। বাগানের পাশাপাশি নার্সারি ও বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন তিনি। এছাড়াও এই ফল বাগনের আয় দিয়ে তিনি ফুলের বাগানও গড়ে তুলেন। তার এই সফলতা দেখে অনেকেই তাদের পতিত জমিতে মিশ্র ফলের বাগান করেছেন।
জানা যায়, বাবুল হোসেন নড়াইলের কালিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দনগর এলাকায় বাসিন্দা। তিনি তার বাড়ির আঙিনায় কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়া শুধু জৈব সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করে বিভিন্ন জাতের ফল এবং শাক-সবজি চাষ ও বাজারজাত করছেন। এতে তিনি সকল খরচ বাদে বছরে আয় করেন লক্ষাধিক টাকা। বাড়ির আঙিনায় বাগান করে তার এমন সফলতা দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে বাগান করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাবুল হোসেনের বাগানে বিভিন্ন জাতের মাল্টা, কমলা লেবু, আনারস, ড্রাগন, ডালিম, আম, পেয়ারা, আমড়া, কলা, পেঁপেসহ হরেক রকম দেশি-বিদেশি ফলমূল থোকায় থোকায় ঝুলছে। বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজিসহ নার্সারির পাশাপাশি দুর্লভ ট্যাং ও স্ট্রবেরি ফলের চাষাবাদ করছেন।
বাবুল হোসেন বলেন, আমি আমার বাড়ির আঙিনায় পড়ে থাকা ৬০ শতক জমিতে প্রথমে নার্সারি শুরু করি। তারপর ২০১০ সালে নার্সারিতে চারা উৎপাদন করে মিশ্র ফলের বাগানের যাত্রা শুরু।
তিনি আরো বলেন, গত ৮ মাস আগে ৪০ শতক জমিতে আরেকটি মিশ্র ফলের বাগান করেছি। বর্তমানে আমার ১ একর জমিতে ১৩০ প্রজাতির ফলজ ও নার্সারির চারা রয়েছে। বাগান দেখাশোনা ও পরিচর্যায় পরিবারের সবাই সাহায্য করে। আগামীতে বাগনের পরিধি আরো বড় করবো।
উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের শুড়িগাতী গ্রামের খাইরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাবুল হোসেনের বাগানটি দেখে আমারো বাগান করার ইচ্ছা হয়েছে। আমিও আমার বাড়ির পড়ে থাকা জমিতে মিশ্র ফলের বাগান করবো।
আরও পড়ূনঃ ফেনীতে কুল চাষে চাষিদের সাফল্য!
কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, বাবুল হোসেনের মিশ্র ফলবাগানটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী বাগান। এবাগান করার মাধ্যমেই তিনি স্বচ্ছল হয়েছেন। পাশাপাশি তাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে বাগান করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার