শেরপুরে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক শফিকুল ইসলাম। স্বাস্থ্যকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ফুলকপি প্রথমবার চাষেই তিনি বাম্পার ফলন পেয়েছেন। পাশাপাশি রঙিন ফুলকপির ভালো বাজারদর পেয়ে খুশি তিনি। রঙিন ফুলকপি চাষে তার সফলতা দেখে অনেকেই চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, কৃষক শফিকুল ইসলাম শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বনাগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এই উপজেলায় প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। কোনো ধরণের কীটনাশক-সার ব্যবহার না করেই শুধু জৈব সার ব্যবহার করে তিনি বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আর রঙিন ফুলকপির চাষ পদ্ধতি সাদা ফুলকপির মতো একই। তাই বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি। অল্প খরচে বেশি ফলন ও বাজারদর ভালো পাওয়া যায় বলে অনেক কৃষকরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, দেশে রঙিন ফুলকপির চাষ ২০২১ সালে শুরু হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছেন কৃষক শফিকুল ইসলাম।
কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি আমার ১৫ শতাংশ জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে রঙিন ফুলকপির চারা রোপন করি। রঙিন ফুলকপি চাষে কোনো প্রকার কীটনাশক, সার ব্যবহার করিনি। শুধু মাত্র জৈব সার ব্যবহা করেছি।
তিনি আরো বলেন, চারা রোপনের ৭০-৭৫ দিনে মধ্যেই রঙিন ফুলকপি আসে। ইতোমধ্যে বিক্রি শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি দেড় লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করতে পারবো।
শফিকুল আরো বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন আমার জমির ফুলকপি দেখতে অনেক মানুষ ভীড় করছে। অনেকে চাষের পরামর্শও নিচ্ছেন।
আরেক চাষি জামিল মিয়া বলেন, শফিকুলের জমির ফুলকপি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে রঙিন ফুলকপির দামও বেশি। আগামীতে আমিও রঙিন ফুলকপির চাষ করবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, রঙিন ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। এতে ভিটামিন সি ই কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করে। এই ফুলকপির চাষ খুবই লাভজনক। এই উপজেলায় প্রথমবারের মতো শফিকুল ইসলাম রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার
রঙিন ফুলকপি চাষে শফিকুলের চমক!
RELATED ARTICLES