লক্ষ্মীপুরে সয়াবিনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার জন্য চলতি মৌসুমে সয়াবিনের ভালো ফলন হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। আরো ১৫ দিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষিরা কষ্টের ফসল পুরোপুরি ঘরে তুলতে পারবেন।
জানা যায়, দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ সয়াবিন উৎপাদিত হয় এই জেলাই। চাষিরা স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ সয়াবিন বিক্রি করছে ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকা দরে। এ বছর সয়াবিনকে ঘিরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার লেনদেনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে। ৮৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন সয়াবিনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এরই মধ্যে মাঠ থেকে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি সয়াবিন কাটা হয়েছে। ।
উপজেলার প্রান্তিক চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আশানুরূপ ফলন হওয়ায় তারা ধারদেনা পরিশোধ করতে পারবেন। গত কয়েক বছর সয়াবিন চাষে তাদের লোকসান হয়েছে। দাম ভালো থাকায় এবার পুরনো ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজারের সয়াবিন ব্যবসায়ী সাইজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, গত কয়েক বছর থেকে এবার অত্যধিক ভালো ফলন হয়েছে। এখন শুকনা সয়াবিন প্রতি মণ ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আধাকাঁচা সয়াবিনের দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে শুরু।
সয়াবিন চাষি মিলন বলেন, এবার বেশ ভালো ফলন হয়েছে। যদিও বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি, গাছ নুয়ে পড়া ও কাদামাটি লেগে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। চাষিরা বাজারে দামও ভালো পাচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. জাকির হোসেন বলেন, চলতি বছর সয়াবিনের প্রত্যাশামত ফলন হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে ২.২ টন করে ফলন এসেছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি সয়াবিনের দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। সে হিসেবে জেলাতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সয়াবিন উৎপাদন হয়েছে। এতে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
লক্ষ্মীপুরে সয়াবিনের বাম্পার ফলন, ব্যবসা হবে ৬০০ কোটি টাকার!
RELATED ARTICLES